মেক্সিকো দেশটি বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সিনেটের মাধ্যমে চীন ও ভারতসহ অন্যান্য এশীয় দেশ থেকে আমদানির ওপর ৫০% পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করা, যদিও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এটি একটি বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৬ সাল থেকে চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না থাকা দেশগুলো থেকে আমদানি করা অটো, অটো পার্টস, টেক্সটাইল, পোশাক, প্লাস্টিক এবং স্টিলের মতো নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক সর্বোচ্চ ৫০% বৃদ্ধি পাবে। বেশিরভাগ পণ্যের জন্য ৩৫% শুল্ক যুক্ত হবে।
সিনেটে ৭৬ ভোট পক্ষে, ৫ ভোট বিপক্ষে এবং ৩৫ জন ভোট দিতে বিরত থাকায় বিলটি অনুমোদিত হয়েছে। অনুমোদিত বিলটি আগে নিম্নকক্ষে আটকে থাকা বিলে তুলনামূলকভাবে নমনীয়। এতে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ধরনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যেগুলোর মধ্যে টেক্সটাইল, পোশাক, ইস্পাত, অটো যন্ত্রাংশ, প্লাস্টিক এবং পাদুকা অন্তর্ভুক্ত। তবে মূল প্রস্তাবের তুলনায় শুল্ক প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমানো হয়েছে।
চীন সকল প্রকার একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধিতা করছে।
বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মেক্সিকোর নতুন শুল্ক ব্যবস্থার উপর নজর রাখবে এবং এর প্রভাব মূল্যায়ন করবে। তবে তারা সতর্ক করেছে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ বাণিজ্যের স্বার্থকে ‘যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত’ করতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “চীন সব ধরনের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং আশা করে আছে, মেক্সিকো এ ধরনের একতরফাবাদী ও সুরক্ষাবাদী নীতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বদলাবে।”
বিশ্লেষক ও বেসরকারি খাতের মতে, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইউএসএ-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তির (USMCA) পরবর্তী পর্যালোচনার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করা। পাশাপাশি, মেক্সিকো ৩.৭৬ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করার লক্ষ্যও রেখেছে যাতে রাজস্ব ঘাটতি কমানো যায়।
